Ticker

6/recent/ticker-posts

শচীন্দ্র প্রসাদ বসু


ভূমিকা:-

   ছাত্রদের ব্যাপক অংশগ্রহণের ফলে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত  শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে বাংলার সরকারের মুখ্য সচিব আর ডব্লিউ কার্নাইল তীব্র দমনমূলক এক সার্কুলার জারি করেন, যা কার্লাইল সার্কুলার নামে পরিচিত।


প্রেক্ষাপট:-

   ছাত্র আন্দোলন ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে কার্লাইল সার্কুলার এর দ্বারা সরকার ছাত্র দের মিটিং মিছিল ও সভা সমিতি নিষিদ্ধ করা হয় এবং বন্দেমাতরম ধ্বনিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই দমনমূলক ঘোষণার বিরুদ্ধে ছাত্রদের উদ্যোগে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি (নভেম্বর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে) গড়ে ওঠে।


প্রতিষ্ঠা:- 

   কলকাতার রিপন কলেজের (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) ছাত্র নেতা এবং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী শচীন্দ্র প্রসাদ বসু (চতুর্থ বর্ষের ছাত্র)কার্নাইল সার্কুলার এর বিরুদ্ধে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর সভাপতি ছিলেন কৃষ্ণ কুমার মিত্র এবং সম্পাদক ছিলেন শচীন্দ্র প্রসাদ বসু।


কার্যাবলী:-

এই সোসাইটির প্রধান উদ্দেশ্যগুলি ছিল-

১) ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যুক্ত রাখা।

২) ছাত্রদের উৎসাহিত করা।

৩) সরকারি স্কুল কলেজ থেকে বিতারিত বা শাস্তিপ্রাপ্ত  ছাত্র দের বিকল্প শিক্ষা লাভের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি।


সক্রিয়তা:-

এন্টি সার্কুলার সোসাইটির উদ্যোগে ব্রিটিশ বিরোধী ছাত্রআন্দোলনে নতুন গতি আসে। শচীন্দ্র প্রসাদ ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ৭ই আগষ্ট কলকাতার "পার্সি বাগান স্কয়ারে (Parsi Bagan Square)”, যার বর্তমান নাম "গির পার্ক Greer Park)” থাকাকালীন একটি পতাকার নকশাও করেন। তিনি তিনটি সবুজ, হলুদ এবং লাল রঙের ফিতে দিয়ে  পতাকাটির ডিজাইন করেছিলেন। পতাকাটি উপরে লাল, মাঝে হলুদ এবং নিচে সবুজ রঙ-এর ছিল। মাঝের হলুদ রঙের মধ্যে "বন্দেমাতরম” ধ্বনিটি লিপিবদ্ধ ছিল এবং নিচের ও উপরের অংশে চাঁদ ও সূর্যের ছবি চিত্রিত ছিল। 

   তিনি নিয়মিত ছাত্রদের সঙ্ঘবদ্ধ করার কাজ চালিয়ে যান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সরকার তাঁকে ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে গ্রেপ্তার করে রাওয়ালপিন্ডি জেলে বন্দি করে। পরবর্তীকালে "Vyavsa O Vanijya” পত্রিকার সম্পাদনা ও করেন তিনি।

মৃত্যু:-

১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Post a Comment

1 Comments

  1. তাহলে জন্ম কখন হয়

    ReplyDelete