ভূমিকা:-
বিভিন্ন দেশে ক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট মানুষজন যে উপায়ে নিজেদের ক্ষোভ বা প্রতিবাদ প্রকাশ করে থাকে সেগুলির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য উপায় বা ধারা হলো বিদ্রোহ।
বিদ্রোহ কী:-
কোনো সমাজে বা রাষ্ট্রে কোনো প্রচলিত ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে বিরোধী জনগোষ্ঠী সংঘঠিত বা অসংগঠিত ভাবে যে আন্দোলন গড়ে তোলে তা সাধারণভাবে বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য:-
বিদ্রোহের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো-
১) বিদ্রোহ স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।
২) বিদ্রোহ পরিকল্পিত অপরিকল্পিত ভাবে শুরু হতে পারে।
৩) বিদ্রোহ সফল হলে পূর্বতন ব্যবস্থার পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে।
৪) বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে পূর্বতন ব্যবস্থার পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকেনা।
উদাহরণ:-
ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে রংপুর বিদ্রোহ, পাবনা বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, প্রভৃতি কৃষক বিদ্রোহ, সিপাহী বিদ্রোহ (১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ), প্রভৃতি হল বিদ্রোহের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
১) ভারতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহী বিদ্রোহ ছিল স্বল্পকালীন বিদ্রোহ। আবার চিনের তাইপিং বিদ্রোহ দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল।
২) নীল বিদ্রোহ পরিকল্পিত ভাবে শুরু হলেও সিপাহী বিদ্রোহ অপরিকল্পিত ভাবে শুরু হয়েছিল।
নীল বিদ্রোহ সফল হাওয়ায় সরকার নীল কমিশন গঠন করে নীল চাষীদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষার উদ্যোগ নেয়।
৪) সিপাহী বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ায় ভারতীয় সিপাহীদের দুর্দশা দূর হয়নি।
৫) অনেক সময় বিদ্রোহ এক বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
0 Comments